মাথা থাকলে সেটা ব্যথা হবেই একথাটা হরহামেশাই বলে
থাকি আমরা। কিন্তু মাঝে মাঝে যন্ত্রণা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে মনে হয়
মাথাটা না থাকলেই বুঝি ভাল হতো। মাথা কাটা নয়, খাটালেই মিলবে সমাধান।
ঢের হয়েছে অ্যাসপিরিন, এবার শরীরটাকে দিন খানিকটা সবুজ আর প্রকৃতির দাওয়াই।
পানি পান:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ একটাই, শরীরে পানির অভাব। ব্যথার ভাব দেখা গেলে ঝটপট দুই গ্লাস পানি পান করুন। আর দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পানের অভ্যাস থাকা ভাল।
আদা চা:
তাজা দেখে এক ইঞ্চি আদা নিয়ে প্রচ- রাগ নিয়ে পিষে ফেলুন। তারপর ওটা দিয়ে চা বানিয়ে গিলে ফেলুন গরম গরম। মাথাব্যথা সারাতে অ্যাসপিরিনের যতক্ষণ লাগে, এটাও ততক্ষণ সময় নেবে।
লেবু:
মাথা ব্যথায় লেবু চা আসলেই কাজ করে। এটা জানা কথা। তবে নতুন করে যেটা করতে পারেন তা হলো, লেবুর চায়ের মাঝে লেবুর চামড়াও কুচি করে মিশিয়ে দিন।
চোখের বিরাম:
যাদের সারাক্ষণ মনিটরে চোখ রাখতে হয়, তাদের মাথা ব্যথা অতি সাধারণ সমস্যা। তবে দুয়েক মিনিট পর পর এদিক ওদিক তাকালে কিংবা মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে নিশ্চয়ই কাজের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
ক্যাপসিকাম ক্রিম:
জ্বালাময়ী ক্রিম বানানোর অন্যতম উপকরণ ক্যাপসিকামের ভেতর থাকা কেইনি পিপার। বাজারে বিভিন্ন এ ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। মাথার যেপাশে ব্যথা, সেই পাশের নাকের ছিদ্র দিয়ে খানিকটা ক্রিম লাগিয়ে দিন।
জলচিকিৎসা:
এতে শুধু মাথাব্যথা নয়, শরীরের আরো অনেক ব্যথাও সেরে যাবে। প্রথমে যতটা সহ্য করা যায় ততটা গরম পানির বালতিতে ২ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে ত্বকে রক্ত সরবরাহের গতি বাড়বে। ২ মিনিট পরেই আবার কণকণে ঠান্ডা পানিতে পা ডোবান। এতে করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রক্তের সাপ্লাই বাড়বে। এবাবে চলবে বিশ মিনিট। উপরি পাওনা হিসেবে একদিকে শরীরের দরকারি জায়গায় দ্রুত পুষ্টিকর উপাদান পৌঁছাবে, অন্যদিকে দূর হবে দূষিত পদার্থ।
ঠান্ডা-গরম থেরাপি:
সরাসরি বরফ লাগাবেন না, আইসব্যাগে ভরে মাথাকে বরফ শীতল করা যেতে পারে। পাশাপাশি ঘাড়ে দিতে হবে গরম ভাপ।
আকুপ্রেশার:
শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় চাপ প্রয়োগ করে রোগ দূর করার প্রাচীন এই চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও সগর্বে টিকে আছে। মুখের ভেতর বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে পর্যায়ক্রমে দুপাশের চোয়ালের হাড়ে চাপ দিন। এরপর দুটো বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে তালুতে চাপ দিন।
ম্যাগনেশিয়াম:
ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টি-পাজমোডিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (ব্যথানাশক) উপাদান। তাই মাথাব্যথা কমাতে বেশি করে ব্রকলি, পুঁই শাক, পালং শাক, শিম, সয়া দুধ, বাদাম খান।
ঘ্রাণথেরাপি:
অ্যারোমাথেরাপির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। ঘ্রাণেই রোগমুক্তির পন্থাটা অনেক আগেকার। মাথাব্যথাই বা বাদ পড়বে কেন। বাটিতে গরম পানি ঢেলে তাতে রোজমেরি গুলিয়ে ঘ্রাণ নিতে পারেন। রোজমেরি ছাড়া, পিপারমিন্ট, ল্যাভেন্ডার, স্যান্ডালউড বা ইউক্যালিপ্টাসের ঘ্রাণও কাজে আসে। তবে ঘ্রাণ নেয়ার আগে টাওয়েল দিয়ে যতটা সম্ভব ঢেকে দেবেন নিজেকে। যাতে ঘ্রাণ পালাতে না পারে।
শিথিলতায় ব্যথা দূর:
অনেক সময় অস্থিরতা থেকেও অসহনীয় মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে নিজেকে কিছুটা সুস্থির করতে পারলেও দেখা যায় ব্যথা চলে গেছে। সুস্থির হতে ১. এক থেকে দশ পযর্ন্ত গুনুন। ২. বড় করে শ্বাস নিন। এতে করে মাংসপেশী শিথিল হবে। ৩. শরীরকে টান টান করে রাখুন। ৪. গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও ভাল কাজ হবে। ৫. হালকা মেজাজের গান শুনুন
বিডিলাইভ ডেস্ক
ঢের হয়েছে অ্যাসপিরিন, এবার শরীরটাকে দিন খানিকটা সবুজ আর প্রকৃতির দাওয়াই।
পানি পান:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ একটাই, শরীরে পানির অভাব। ব্যথার ভাব দেখা গেলে ঝটপট দুই গ্লাস পানি পান করুন। আর দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পানের অভ্যাস থাকা ভাল।
আদা চা:
তাজা দেখে এক ইঞ্চি আদা নিয়ে প্রচ- রাগ নিয়ে পিষে ফেলুন। তারপর ওটা দিয়ে চা বানিয়ে গিলে ফেলুন গরম গরম। মাথাব্যথা সারাতে অ্যাসপিরিনের যতক্ষণ লাগে, এটাও ততক্ষণ সময় নেবে।
লেবু:
মাথা ব্যথায় লেবু চা আসলেই কাজ করে। এটা জানা কথা। তবে নতুন করে যেটা করতে পারেন তা হলো, লেবুর চায়ের মাঝে লেবুর চামড়াও কুচি করে মিশিয়ে দিন।
চোখের বিরাম:
যাদের সারাক্ষণ মনিটরে চোখ রাখতে হয়, তাদের মাথা ব্যথা অতি সাধারণ সমস্যা। তবে দুয়েক মিনিট পর পর এদিক ওদিক তাকালে কিংবা মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে নিশ্চয়ই কাজের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
ক্যাপসিকাম ক্রিম:
জ্বালাময়ী ক্রিম বানানোর অন্যতম উপকরণ ক্যাপসিকামের ভেতর থাকা কেইনি পিপার। বাজারে বিভিন্ন এ ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। মাথার যেপাশে ব্যথা, সেই পাশের নাকের ছিদ্র দিয়ে খানিকটা ক্রিম লাগিয়ে দিন।
জলচিকিৎসা:
এতে শুধু মাথাব্যথা নয়, শরীরের আরো অনেক ব্যথাও সেরে যাবে। প্রথমে যতটা সহ্য করা যায় ততটা গরম পানির বালতিতে ২ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে ত্বকে রক্ত সরবরাহের গতি বাড়বে। ২ মিনিট পরেই আবার কণকণে ঠান্ডা পানিতে পা ডোবান। এতে করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রক্তের সাপ্লাই বাড়বে। এবাবে চলবে বিশ মিনিট। উপরি পাওনা হিসেবে একদিকে শরীরের দরকারি জায়গায় দ্রুত পুষ্টিকর উপাদান পৌঁছাবে, অন্যদিকে দূর হবে দূষিত পদার্থ।
ঠান্ডা-গরম থেরাপি:
সরাসরি বরফ লাগাবেন না, আইসব্যাগে ভরে মাথাকে বরফ শীতল করা যেতে পারে। পাশাপাশি ঘাড়ে দিতে হবে গরম ভাপ।
আকুপ্রেশার:
শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় চাপ প্রয়োগ করে রোগ দূর করার প্রাচীন এই চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও সগর্বে টিকে আছে। মুখের ভেতর বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে পর্যায়ক্রমে দুপাশের চোয়ালের হাড়ে চাপ দিন। এরপর দুটো বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে তালুতে চাপ দিন।
ম্যাগনেশিয়াম:
ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টি-পাজমোডিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (ব্যথানাশক) উপাদান। তাই মাথাব্যথা কমাতে বেশি করে ব্রকলি, পুঁই শাক, পালং শাক, শিম, সয়া দুধ, বাদাম খান।
ঘ্রাণথেরাপি:
অ্যারোমাথেরাপির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। ঘ্রাণেই রোগমুক্তির পন্থাটা অনেক আগেকার। মাথাব্যথাই বা বাদ পড়বে কেন। বাটিতে গরম পানি ঢেলে তাতে রোজমেরি গুলিয়ে ঘ্রাণ নিতে পারেন। রোজমেরি ছাড়া, পিপারমিন্ট, ল্যাভেন্ডার, স্যান্ডালউড বা ইউক্যালিপ্টাসের ঘ্রাণও কাজে আসে। তবে ঘ্রাণ নেয়ার আগে টাওয়েল দিয়ে যতটা সম্ভব ঢেকে দেবেন নিজেকে। যাতে ঘ্রাণ পালাতে না পারে।
শিথিলতায় ব্যথা দূর:
অনেক সময় অস্থিরতা থেকেও অসহনীয় মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে নিজেকে কিছুটা সুস্থির করতে পারলেও দেখা যায় ব্যথা চলে গেছে। সুস্থির হতে ১. এক থেকে দশ পযর্ন্ত গুনুন। ২. বড় করে শ্বাস নিন। এতে করে মাংসপেশী শিথিল হবে। ৩. শরীরকে টান টান করে রাখুন। ৪. গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও ভাল কাজ হবে। ৫. হালকা মেজাজের গান শুনুন
বিডিলাইভ ডেস্ক
0 Response to " প্রাকৃতিক উপায়ে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি "