বছর ঘুরতেই অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাই খিটখিটে স্বভাবের হয়ে ওঠে। কিছুই যেন তাঁদের ভালো লাগে না। সারাক্ষণ মেজাজ গরম। নিজের গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের মনটাও তাঁরা কিছুতেই বুঝতে চান না, সব কিছু নিয়েই কেবল অভিযোগ আর হুকুমের সুর তাঁদের কণ্ঠে
আপনার প্রিয় মানুষটিও কি আজকাল এমনই হয়ে গেছেন? তাহলে জেনে নিন খিটখিটে স্বভাবের সম্পর্কটি আবারও স্বাভাবিক করার তোলার কিছু সহজ টিপস।
☞ শান্ত থাকুন
যখন আপনার বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড খিটমিট করবে আর তখন সবচেয়ে প্রথম ও বাস্তবসম্মত উপায়টি হচ্ছে আপনাকে শান্ত থাকতে হবে। উলটো দিকের মানুষটি খিটমিট করলে আপনিও যদি
উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগবে না। মাথা ঠাণ্ডা
রাখুন, আর বোঝার চেষ্টা করুন কেন তিনি এমন করছেন। আপনি শান্ত থাকলে ওপর
পক্ষ একা একা বেশিক্ষণ খিটিমিটি চালিয়ে যেতে পারবেন না।
☞ আলোচনা করুন
যখন তাঁর মন ভালো থাকবে বা আপনারা
অন্তরঙ্গ অবস্থায় থাকবেন, তখন তাঁর সঙ্গে আলোচনা করুন। জানতে চান তাঁর এমন
আচরণের কারণ, আপনি যে কষ্ট পান সেটাও জানান। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিন যে
আপনি সর্বদা তাঁর পাশে আছে এবং যে কোনও সাহায্য করতে আপনি রাজি।
☞ সবকিছুকে মনের গভীরে নেবেন না
রাগের মাথায় মানুষ অনেক কিছুই বলে,
সবকিছুকে সিরিয়াসলি মনে নিয়ে নেবেন না। ছোটখাটো অনেক কিছুই সম্পর্কে ঘটতে
পারে, সেসব দেখেও না দেখার ভান করুন। পাত্তা দিলেই ঝামেলা বাড়বে।
☞ খুশি করার চেষ্টা করুন
একটা মানুষ অকারণে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে
যায় না, বরং প্রচণ্ড মানসিক অশান্তি থেকে এটা হয়। কারণটা যদি জানতে নাও
পারেন, চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার, সারপ্রাইজ দেওয়ার। তিনি
আপনার হবু বর বা বউ, আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাঁকে কীভাবে খুশি করতে হয়?
☞ আপনি বুঝার চেষ্টা করুন
মানুষের মনে অনেক দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা থাকতে পারে যা কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না কিংবা করেনা, আর সেই আবেগ ঝারার প্রিয় মানুষটি হয়তবা আপনি, সেইটা আপনাকে বুঝতে হবে।
☞ সম্ভব হলে তাঁর চাপ কমান
যে কারণে মানুষটি এমন খিটখিটে স্বভাবের
হয়ে উঠেছেন, সম্ভব হলে তাঁর সেই চাপটি কমানোর ব্যবস্থা করুন। পারিবারিক ভাবে হোক
বা আর্থিক, অফিসের কাজ হোক বা বাড়ির কিংবা কোনও মানসিক কষ্ট- পাশে একজন
মানুষ পেলে সকলেরই ভাল লাগে।
☞ তাঁর প্রশংসা করুন, ভালোবাসা দেখান
বেশি করে ভালোবাসার কথা বলুন আর আপনি থাকে অনেক ভালোবাসেন তা বুঝাতে চেষ্টা করুন, প্রশংসা ও ভালোবাসা এমন দুটি জিনিস, যা যে
কোনও মানুষের মন নরম করতে বাধ্য। সঙ্গী খিটখিটে স্বভাবের হয়ে গেলে আপনি
বাড়তি ভালোবাসা দিয়ে অভাবটা পূরণ করে দিন।
☞ আপনি পাল্টা খিটমিট করবেন না মোটেও
বয়ফ্রেন্ড খিটমিট করছেন বলে আপনি যেন পাল্টা কথা শোনাতে যাবেন না। এই কথাটি অবশ্যই মনে রাখুন। এতে সম্পর্ক চরম খারাপ হয়ে যায়।
উপরে টিপসগুলি মেনে চলে দেখুন। কথা দিচ্ছি ফল পাবেনই।
0 Response to " আপনার খিটখিটে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডকে সামলানোর সহজ টিপস "