ফুলকপির যতগুন আর রুখতে পারে ক্যান্সার

blogspot 0 comments

শীত মানেই সুস্বাদু সবজির সমাহার তার মধ্যে ফুলকপির অন্যতম। নানাগুণে গুণান্বিত এই সবজি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। তাই খাওয়ার আগে জেনে নিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ।

ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’, ‘কে’, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ যা মানবশরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গবেষকরা বলেছেন, ফুলকপি খেলে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। জেনে নিন সুস্বাদু আর উপকারি এই সবজিটির কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ক্যান্সার প্রতিরোধক
মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। এতে সালফোরাফেন নামে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই উপাদানটি ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
শীতের সুস্বাদু সবজি ফুলকপির আরও একটি অন্যতম গুণের একটি হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা ফুলকপি খাবারের তালিকায় রাখতে দ্বিধা করবেন না।  

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
ফুলকপি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এর সালফোরাফেন নামের উপাদানটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং কিডনি সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, ধমনীর ভেতরে প্রদাহ রোধেও কাজ করে ফুলকপি।


খনিজ ও ভিটামিনের অন্যতম উৎস
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। যা কিনা মানবশরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম। যারা নিয়মিত শারীরিক দুর্বলতার শিকার হন, তারা ফুলকপি বেশী বেশী করে খেতে পারেন।  


মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে
ফুলকপিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন-বি রয়েছে, যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়।


বাড়তি ওজন কমাতে
ফুলকপি  শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে  শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা ভাবছেন তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।  


হজমে সাহায্যকারী
ফুলকপির উচ্চ ফাইবার উপাদান  খাদ্য হজম প্রক্রিয়াতে খুব সহায়ক।  যদি শীতের এই সময়টাতে  প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সামান্য করে হলেও ফুলকপির কোন পদ রাখা যায়, তাহলে  খাবারে হজম নিয়ে কোন সমস্যায় হচ্ছে না।  


দাঁতকে সুরক্ষা করে
অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ফুলকপি। কারণ এতে রয়েছে দাঁত-মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড। উপাদানগুলো দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি ও বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


চোখের যত্নে
চোখের যত্নে ফুলকপির কোন তুলনা হয় না। কারণ ফুলকপির ভিটামিন এ উপাদান  চোখের সঠিক দেখভাল করার জন্য যথেষ্ট। তাই চোখকে সুস্থ আর সুন্দর রাখতে ফুলকপি বেশী বেশী করে খাওয়া উচিত। 

শুধু সুস্থ দেহের জন্যই নয়, চুল, ত্বক ও সাধারণ কাঁটা ছেঁড়া ও ইনফেকশন প্রতিরোধে ফুলকপির তুলনা হয় না।

সতর্কতা 
যারা কিডনি ও থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও কেউ খেতে চাইলে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 
Google+ Pinterest

0 Response to " ফুলকপির যতগুন আর রুখতে পারে ক্যান্সার "

  • Commented politely and wisely in accordance with the content.
  • Comments are not needed by other readers [spam] will be removed immediately.
  • If the article entitled " ফুলকপির যতগুন আর রুখতে পারে ক্যান্সার " is useful, share to social networks.
Code Conversion