আমাদের দেশে অনেক রোগী আছেন, যারা আসলে জানেন না যে কোনটি কোমর ব্যথা আর
কোনটি কিডনির ব্যথা। বেশির ভাগ কোমর ব্যথার রোগী মনে করেন তাদের কিডনিতে
সমস্যা হয়েছে। তবে কিছু তথ্য বা উপসর্গ জানা থাকলে নিজে নিজেই বোঝা যাবে
ব্যথাটা কিসের।
কিডনি রোগীদের উপসর্গ বা ব্যথা
— কিডনির ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাম পাশে হয়। যা পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হয় ও এই ব্যথা নড়াচড়া করে, কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে এবং পেছনের নরম জায়গায় অনুভূত হতে পারে।
— রোগী নিজেকে অসুস্থ এবং দুর্বল বল মনে করবে, মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব হবে।
— শরীরে জ্বর জ্বর ভাব অনুভব হবে ও তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে।
— প্রস্রাব ঘোলাটে হবে ও গন্ধ বের হবে।
— প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব হবে।
কীভাবে বুঝবেন এটি কোমর ব্যথা?
— কোমর ব্যথা সাধারণত মাংসপেশি, হাড়, ডিস্ক, জয়েন্ট, নার্ভ বা রগ সম্পর্কিত ।
— এটি নির্দিষ্ট এরিয়াতে হয়ে থাকে ।
— মেরুদণ্ডের নাড়াচাড়া যেমন উঠাবসা, সামনে ঝোঁকা, হাঁটা বা দাঁড়ানো, অনেকক্ষণ একাধারে কাজ করা বা শুয়ে থাকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এটি নাড়াচাড়ার সঙ্গে কমবে বা বাড়বে।
— সাধারণত এই ব্যথায় জ্বর হয় না (তবে কোনো রোগের কারণে কোমর ব্যথা হলে জ্বর আসতে পারে যেমন : টিউমার) এবং রোগী নিজেকে দুর্বল মনে করে না।
— অনেক সময় কোমর ব্যথা ওষুধ সেবনে ভালো হয় কিন্তু বন্ধ করলে ব্যথা আবার আগের অবস্থায় চলে আসে।
কোমর ব্যথা সম্পর্কিত যেসব তথ্য নিয়ে রোগীকে অবশ্যই বিশেষভাবে ভাবতে হবে ও চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন :
— কোমর ব্যথার রোগীর বয়স ১০-এর নিচে এবং ৫১ বছরের ওপরে হলে।
— হঠাত্ অস্বাভাবিক ওজন কমে গেলে।
— কোমর ব্যথা অনেক ওষুধ খাওয়ার পরও না কমলে।
— প্রস্রাব-পায়খানা ধরে রাখতে না পারলে বা কষ্ট হলে।
— কোমর ব্যথা পায়ে গেলে ও তা ঝিনঝিন, ভারী ভারী, অবস অবস, জ্বালাপোড়া এবং পা দুর্বল অনুভব হলে।
— রাতে ব্যথার জন্য ঘুমে অসুবিধা হলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে কিডনি রোগীদের মধ্যে শতকরা ত্রিশ ভাগ রোগীর কিডনির সমস্যা হয়েছে ব্যথার ওষুধ সেবনের জন্য, যারা নানা ব্যথার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়েছেন। বলা হয়ে থাকে, অনেক সময় কিডনি নষ্টের জন্য একটা ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। তবে ব্যথার ওষুধ ছাড়াও ব্যথা নিরাময় সম্ভব, আমাদের দেশে অনেকে আছে তা জানে না। যেমন : ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি যা মেরুদণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বাংলাদেশেও এই চিকিত্সা প্রচলিত আছে। আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত সুস্থ কিডনি সুন্দর জীবন ব্যথামুক্ত পুরো কোমর, তাই No More Pill No More Bill.
ডা. মো. শাহাদত্ হোসেন লেখক : প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড কনসালটেম্লট, ফিজিওথেরাপি ফাউন্ডেশন, কনসালটেম্লট, পুপলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ধানমন্ডি-২, ঢাকা।
আমার দেশ
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩
কিডনি রোগীদের উপসর্গ বা ব্যথা
— কিডনির ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাম পাশে হয়। যা পেছনের পাঁজরের নিচের অংশে অনুভূত হয় ও এই ব্যথা নড়াচড়া করে, কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে এবং পেছনের নরম জায়গায় অনুভূত হতে পারে।
— রোগী নিজেকে অসুস্থ এবং দুর্বল বল মনে করবে, মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব হবে।
— শরীরে জ্বর জ্বর ভাব অনুভব হবে ও তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে।
— প্রস্রাব ঘোলাটে হবে ও গন্ধ বের হবে।
— প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব হবে।
কীভাবে বুঝবেন এটি কোমর ব্যথা?
— কোমর ব্যথা সাধারণত মাংসপেশি, হাড়, ডিস্ক, জয়েন্ট, নার্ভ বা রগ সম্পর্কিত ।
— এটি নির্দিষ্ট এরিয়াতে হয়ে থাকে ।
— মেরুদণ্ডের নাড়াচাড়া যেমন উঠাবসা, সামনে ঝোঁকা, হাঁটা বা দাঁড়ানো, অনেকক্ষণ একাধারে কাজ করা বা শুয়ে থাকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এটি নাড়াচাড়ার সঙ্গে কমবে বা বাড়বে।
— সাধারণত এই ব্যথায় জ্বর হয় না (তবে কোনো রোগের কারণে কোমর ব্যথা হলে জ্বর আসতে পারে যেমন : টিউমার) এবং রোগী নিজেকে দুর্বল মনে করে না।
— অনেক সময় কোমর ব্যথা ওষুধ সেবনে ভালো হয় কিন্তু বন্ধ করলে ব্যথা আবার আগের অবস্থায় চলে আসে।
কোমর ব্যথা সম্পর্কিত যেসব তথ্য নিয়ে রোগীকে অবশ্যই বিশেষভাবে ভাবতে হবে ও চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন :
— কোমর ব্যথার রোগীর বয়স ১০-এর নিচে এবং ৫১ বছরের ওপরে হলে।
— হঠাত্ অস্বাভাবিক ওজন কমে গেলে।
— কোমর ব্যথা অনেক ওষুধ খাওয়ার পরও না কমলে।
— প্রস্রাব-পায়খানা ধরে রাখতে না পারলে বা কষ্ট হলে।
— কোমর ব্যথা পায়ে গেলে ও তা ঝিনঝিন, ভারী ভারী, অবস অবস, জ্বালাপোড়া এবং পা দুর্বল অনুভব হলে।
— রাতে ব্যথার জন্য ঘুমে অসুবিধা হলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে কিডনি রোগীদের মধ্যে শতকরা ত্রিশ ভাগ রোগীর কিডনির সমস্যা হয়েছে ব্যথার ওষুধ সেবনের জন্য, যারা নানা ব্যথার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়েছেন। বলা হয়ে থাকে, অনেক সময় কিডনি নষ্টের জন্য একটা ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। তবে ব্যথার ওষুধ ছাড়াও ব্যথা নিরাময় সম্ভব, আমাদের দেশে অনেকে আছে তা জানে না। যেমন : ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি যা মেরুদণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বাংলাদেশেও এই চিকিত্সা প্রচলিত আছে। আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত সুস্থ কিডনি সুন্দর জীবন ব্যথামুক্ত পুরো কোমর, তাই No More Pill No More Bill.
ডা. মো. শাহাদত্ হোসেন লেখক : প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড কনসালটেম্লট, ফিজিওথেরাপি ফাউন্ডেশন, কনসালটেম্লট, পুপলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ধানমন্ডি-২, ঢাকা।
আমার দেশ
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩
0 Response to " কোমরের ব্যথা না কিডনির? "